জাবের একাধারে একজন পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, সাহিত্যিক এবং জ্যামিতিবিদ। সে একবার তার আন্ডারগ্রাউন্ড রুমে ঢুকে একটি সাদা পৃষ্ঠায় একটি মহাকাব্য লিখতে বসল। মাইকেল মধুসুদন দত্তের অপূর্ণ মহাকাব্য "সিংহল বিজয়" পূর্ণ করার ইচ্ছা জেগে উঠল। কিন্তু বিধিবাম। মাথায় কোন কিছুই আসছে না। যে একই সঙ্গে এতকিছু সে তো তাহলে পাগল ও বটে। এরপরে সে পাগলামির ফলশ্রুতিতে সাদা কাগজটি কাটতে শুরু করল।
তখনই তার মাথায় জ্যামিতিবিদের ভূত চেপে বসল। সে কাগজটিকে কেটে একটি সুন্দর বৃত্ত বানালো। এরপরে সে বৃত্তটির কেন্দ্র বের করল। এবার সে বৃত্তের দুটি ব্যাসার্ধ আঁকল যেন তারা $120°$ কোণ তৈরী করে। এবারে সে ব্যাসার্ধ দুটি ধরে বৃত্তটিকে কেটে দুভাগ করে ফেলল। এরপরে খণ্ডিত অংশ নিয়ে সে দুটি কোনক বানালো। কোণক দুটি সে তার টেবিলের উপর রেখে খেতে চলে গেল। তারপর একজন বিশাল মেধাবী হিসেবে এই জিনিসগুলো ভুলেই গেল।
এরপরে প্রায় একমাস পরে তার কোন একটি কাজে কোনকের দরকার পড়ল। তখন বিজলিবেগে তার মাথায় সেই কোনকের কথা মনে পড়ল। সে আন্ডারগ্রাউন্ড রুমে গিয়ে কোনক দুটি আনতে গেল। প্রায় একমাস হাত না দেওয়ায় টেবিলটিতে ধুলো জমে ছিল। সে পরোয়া না করে কোনক দুটি হাতে নিল। এবার সে লক্ষ্য করল তার টেবিলে দুটি বৃত্ত তৈরী হয়ে আছে।
আসলে কোনক থাকায় সে অংশে ধুলো ঢুকতে পারেনি। তাই চারপাশের ধুলো থেকে সেটি আলাদা হয়ে বৃত্ত তৈরী করল। এবার জাবের পদার্থবিদ হয়ে গেল। সে দুটি বৃত্তের ক্ষেত্রফল বের করল। ক্ষেত্রফল না জেনে এখন তোমাদের বলতে হবে ক্ষেত্রফল দুটির মধ্যে বড়টি ছোটটির কত গুণ ছিল।